গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’ ফিচার ব্যবহারকারীদের সার্চ ফলাফলের শীর্ষে এআই-উৎপন্ন সংক্ষিপ্ত তথ্য প্রদর্শন করে, যার ফলে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এই ফিচার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির ওয়েন্টজভিলে অবস্থিত স্টেফানিনাস পিজ্জারিয়া গুগলের এআই ওভারভিউ-এর বিরুদ্ধে ভুয়া খাবারের মেনু এবং মূল্যছাড়ের তালিকা প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেছে।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছে, “দয়া করে আমাদের স্পেশাল মেনু বা ছাড় জানতে গুগল এআই ব্যবহার করবেন না। আমাদের ফেসবুক পেজ বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন। গুগল এআই ভুল তথ্য দিচ্ছে এবং এমন সব অফারের কথা বলছে, যা বাস্তবে নেই। এর ফলে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা আমাদের কর্মীদের ওপর চিৎকার করছেন। গুগল যা প্রকাশ করছে, তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না এবং গুগল এআই-এর বানানো কোনো অফার আমরা মানব না।”
রেস্তোরাঁর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ইভা গ্যানন জানিয়েছেন, “গুগলের এআই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এমন সব ছাড় ও প্রমোশন দেখাচ্ছে, যা আমরা কখনোই দিইনি। একবার এআই দাবি করেছে, ছোট পিৎজার দামে বড় পিৎজা পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের কোনো এমন অফার ছিল না। এমনকি এমন খাবারের নামও দেখানো হয়েছে, যা আমাদের মেনুতেই নেই। এসবের প্রভাব আমাদের ওপর পড়ছে। ছোট ব্যবসা হিসেবে আমরা গুগল এআই-এর বানানো ছাড় মানতে পারি না।”
শুধু স্টেফানিনাস নয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে মিনেসোটার একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান গুগলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, গুগল এআই-এর সারাংশে ভুলভাবে বলা হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণামূলক বিক্রয় কৌশলের জন্য মামলার মুখোমুখি। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা হলেও প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
গুগল এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের এআই সার্চ ফলাফলের নির্দেশিকায় বলা আছে, ফলাফল কখনো কখনো ভুল হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘এআই হ্যালুসিনেশন’ বলে অভিহিত করেন, অর্থাৎ এআই এমন তথ্য তৈরি করে, যা বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও বাস্তবে ভিত্তিহীন। এই ঘটনা প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।