‘সংরাইটার লেবেল’ ফিচারটি ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে তাকে গীতিকার হিসেবে চিহ্নিত করবে। অন্যদিকে, ‘সংরাইটার মিউজিক ট্যাব’ গীতিকারদের তাদের লেখা বা সহ-লেখক হিসেবে থাকা গানগুলো আলাদাভাবে প্রদর্শনের সুযোগ দেবে। এই ফিচারগুলোর মাধ্যমে গীতিকাররা তাদের কাজের স্বীকৃতি এবং জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারবেন।
বর্তমানে এই ফিচারগুলো সীমিত সংখ্যক প্রকাশক ও গীতিকারদের জন্য উন্মুক্ত। টিকটক জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই ফিচার ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বখ্যাত গীতিকার লরেন ক্রিস্টি, অ্যাভ্রিল ল্যাভিন, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, টবি গ্যাড, ফার্গি, জন লিজেন্ড, জাস্টিন ট্রান্টার, ডুয়া লিপা এবং আরিয়ানা গ্র্যান্ডের মতো তারকারা। আগ্রহী গীতিকাররা তাদের নাম ‘ওয়েটলিস্ট’-এ যুক্ত করতে পারবেন বলে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
টিকটক ও এর মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স ৮৭১ জন গীতিকারের উপর জরিপ এবং ১৮ জনের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে এই ফিচারগুলো তৈরি করেছে। এই গবেষণা ফিচারটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। টিকটকের মূল লক্ষ্য হলো গীতিকারদের আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ৫৩ শতাংশ পেশাদার গীতিকার সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্ট পোস্ট করার জন্য টিকটক ব্যবহার করেন।
রয়্যালটি ও কপিরাইটের ক্ষেত্রে টিকটক ইউটিউব ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করছে। প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটর ও লেবেলের সঙ্গে লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে, টিকটকে থাকা সব গান ভিডিওতে ব্যবহার করা যায়। কোনো কনটেন্ট নির্মাতা যদি কোনো গান ব্যবহার করেন, তবে গানের শিল্পী চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়্যালটি পান।
তবে এই ক্ষেত্রে টিকটক কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। কারণ, স্পটিফাই ২০২০ সাল থেকেই গীতিকারদের জন্য ‘স্পটলাইট’ নামে অনুরূপ একটি ফিচার চালু করেছে। এছাড়া, গত মাসে বাইটড্যান্স ‘টিকটক ফর আর্টিস্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, যার মাধ্যমে সঙ্গীতশিল্পীরা তাদের গান, পোস্ট এবং অনুসারীদের তথ্য ও বিশ্লেষণমূলক ডেটা দেখতে পারেন।