কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল তৈরি ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনলাইনে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে সম্প্রতি অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের পরিবর্তে কৃত্রিমভাবে তৈরি তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা হয়।
অ্যাপলের তথ্য অনুযায়ী, তাদের এআই মডেল দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ কাজ করে সরাসরি ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে, এবং অপরটি পরিচালিত হয় অ্যাপলের নিজস্ব ‘প্রাইভেট কম্পিউটিং’ অবকাঠামোর মাধ্যমে। এর ফলে প্রতিটি পর্যায়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ থাকে বলে দাবি করেছে অ্যাপল।
অ্যাপল জানায়, ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা তাদের দীর্ঘদিনের মূলনীতি। এ কারণে তাদের এআই অবকাঠামোর প্রতিটি স্তর গোপনীয়তা রক্ষার কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে। তবে এই কঠোর নীতির কারণে এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত তথ্যভান্ডার সীমিত হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অ্যাপল পিছিয়ে পড়ছে।
অ্যাপলের উন্নত চিপসেট ও সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশনের সুবিধার কারণে তাদের বেশিরভাগ এআই কার্যক্রম সরাসরি ডিভাইসেই সম্পন্ন হয়। এতে আলাদা ক্লাউড প্রসেসিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না, যা গোপনীয়তা রক্ষার দিক থেকে অনেকটাই নিরাপদ। তবে অ্যাপল পণ্য ব্যবহারকারীরা যখন ওপেনএআই বা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই টুল ব্যবহার করেন, তখন সেই তথ্য অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়।