গুগলের মুখপাত্র এড ফার্নান্দেজ এক ই–মেইল বার্তায় জানান, “আমরা ফায়ারবেস–সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করেছি এবং সেবার শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট অ্যাপের অপারেশন স্থগিত করেছি।”
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ক্যাটওয়াচফুল অ্যাপটি মোবাইল ফোনে ইনস্টল করার পরপরই গোপনে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি, অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করত এবং সেগুলো গুগলের ফায়ারবেস সার্ভারে সংরক্ষণ করত। গুগলের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, তাদের ক্লাউড সেবা কোনো ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা নজরদারি অ্যাপ চালানোর জন্য ব্যবহার করা যাবে না। তা সত্ত্বেও এই অ্যাপটি দীর্ঘদিন ধরে গুগলের ক্লাউড সেবা ব্যবহার করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
গুগলের এই সিদ্ধান্তের পর গত শুক্রবার থেকে ক্যাটওয়াচফুল অ্যাপটি আর কোনো তথ্য আদান-প্রদান করছে না এবং কার্যত এটি বন্ধ রয়েছে। অ্যাপটি শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে অভিভাবকদের সহায়তা দেওয়ার দাবি করলেও বাস্তবে এটি ‘স্টকারওয়্যার’ বা ‘স্পাউসওয়্যার’ হিসেবে পরিচিত, যা নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করতে ব্যবহৃত হয়।
প্রসঙ্গত, ক্যাটওয়াচফুল অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। এটি ইনস্টল করতে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ‘সাইডলোডিং’ পদ্ধতিতে ফোনে স্থাপন করতে হয়, যার জন্য ফোনে সরাসরি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। ইনস্টল হওয়ার পর অ্যাপটি নিজেকে ‘সিস্টেম অ্যাপ’ হিসেবে লুকিয়ে ফেলে, যা ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তথ্য সংগ্রহ করে।