উইন্ডোজ পর্যবেক্ষক ফ্যান্টমফিয়ার্থ জানিয়েছেন, এখন থেকে ফাইল কপি বা ডিলিট করার সময় যে ডায়ালগ বক্সগুলো প্রদর্শিত হয়, সেগুলোতেও ডার্ক থিম প্রয়োগ করা হয়েছে। পূর্বে এই প্রম্পটগুলো লাইট মোডেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু নতুন আপডেটের মাধ্যমে এগুলো ডার্ক মোডে রূপান্তরিত হচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, কারণ ডায়ালগ বক্সের বাটনগুলো এখনও লাইট থিমেই রয়ে গেছে।
মাইক্রোসফট এখনও উইন্ডোজ ১১-এর ডার্ক মোডে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তবে সাম্প্রতিক ছোটখাটো আপডেটগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ২০২৫ সালের শেষের দিকে আসন্ন ২৫এইচ২ আপডেটে ডার্ক মোডে আরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হতে পারে।
বর্তমানে কন্ট্রোল প্যানেল, রান প্রম্পট এবং ফাইল প্রোপার্টিজ ইউআই এখনও লাইট মোডেই আটকে আছে। প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ভার্জ-এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ১০ বছর পর মাইক্রোসফট এই অংশগুলোকেও ডার্ক মোডে আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করলে খুব বেশি আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ ১০-এ ফাইল এক্সপ্লোরারে ডার্ক মোড যুক্ত করতে মাইক্রোসফটের বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছিল, যদিও সিস্টেমটি শুরু থেকেই লাইট ও ডার্ক মোডের মিশ্রণে চলছিল।
অন্যদিকে, অ্যাপল ২০১৮ সালে ম্যাকওএস মোহাভি থেকে ধারাবাহিকভাবে ডার্ক মোড চালু করেছে। এ বছর ম্যাকওএস-এ নতুন লিকুইড গ্লাস ডিজাইন আসছে, যেখানে ট্রান্সলুসেন্সি বা স্বচ্ছতার ওপর আরও বেশি জোর দেওয়া হবে।
উইন্ডোজ ১১-এর ডার্ক মোডের এই অগ্রগতি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ইন্টারফেসের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ডার্ক মোড অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য আরও কিছু পথ পাড়ি দিতে হবে।