Sunday, July 20, 2025

ডেটা সায়েন্স, এআই ও অ্যাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন সমাপ্ত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক সিটিতে অবস্থিত ইএটিএল ইনোভেশন হাবে গত শনিবার দুই দিনব্যাপী ডেটা সায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অ্যাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। ইএটিএল ইনোভেশন হাব ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড আয়োজিত এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের গবেষক, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীরা অংশ নেন। সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং, রোবোটিকসসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।

ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, “এই সম্মেলন গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। দেশ-বিদেশের গবেষকরা তাদের এআই ও ডেটা সায়েন্স বিষয়ক গবেষণা তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের পেশাজীবী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকদের সঙ্গে তাদের ভাবনা ও উদ্ভাবন বিনিময় করার সুযোগ পেয়েছেন।”

ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ডের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. সারাই বলেন, “বাংলাদেশে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারগুলো এআই ও অন্যান্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অনেক। এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে তরুণদের অবদান সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ ধরনের কাজকে এগিয়ে নিতে সরকারের বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।”

সম্মেলনে কি-নোট ভাষণ, গবেষণাপত্র উপস্থাপন, কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা ও পোস্টার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকদের তথ্যমতে, সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রগুলো স্প্রিঙ্গার কমিউনিকেশনস ইন কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, চীন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের গবেষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থাগুলোকে এআই ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও গবেষণার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ধরনের সম্মেলন ভবিষ্যতে প্রযুক্তি গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.