ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ–এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস)–এর মনোরোগ চিকিতসক ও গবেষকরা জানান, সাইকোসিস বা মনোবিভ্রমের প্রাথমিক ধাপে থাকা ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটির জবাবগুলো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তা নিজেদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। এতে তাদের মানসিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
গবেষকদের মতে, এসব এআই টুল কোনো চিকিতসাগত মানদণ্ড মেনে তৈরি হয়নি এবং এতে মানসিক রোগীদের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ক্লিনিক্যাল নিরাপত্তা সীমা বা গার্ডরেইল। ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি এসব টুল ব্যবহারে আরও বিভ্রান্ত হতে পারেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত চ্যাটজিপিটি ৯০ কোটিরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার পেছনে মানসিক সহায়তার জন্য ব্যবহার করার প্রবণতাও বড় একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের চিকিতসায় প্রযুক্তি সহায়ক হতে পারে বটে, তবে এআইয়ের অন্ধ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তারা মানসিক রোগীদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন যেন তারা পেশাদার চিকিতসকের সহায়তা নেন এবং কেবলমাত্র এআই টুলের ওপর নির্ভর না করেন।
তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে এআই টুলগুলো যেন মনোরোগ চিকিতসায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়, সেজন্য প্রয়োজন যথাযথ নীতিমালা, ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ও মনিটরিং ব্যবস্থা।