আয়ারল্যান্ডভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য তিনটি অত্যাধুনিক ও উচ্চ কার্যকারিতাসম্পন্ন প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে, যা দেশের বিদ্যুত খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব রূপান্তর ত্বরান্বিত করবে। এই প্রযুক্তিগুলো শক্তি সাশ্রয় ও পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতির মাধ্যমে বিদ্যুতের গুণগত মান নিশ্চিত করে, যার ফলে বিদ্যুত অপচয় কমে, গ্রাহকের বিল হ্রাস পায় এবং পুরো নেটওয়ার্ক আরও স্থিতিশীল হয়।
ইটনের উন্মোচিত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক এসএফ৬ বিকল্প গ্যাস প্রযুক্তি, যা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে টেকসই বিদ্যুত অবকাঠামো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পরিবেশগত ঝুঁকি হ্রাসে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এছাড়া, এই প্রযুক্তি বিদ্যমান সাবস্টেশনগুলোকে ন্যূনতম বিনিয়োগে স্মার্ট সাবস্টেশনে রূপান্তর করতে সক্ষম। ডিস্ট্রিবিউটেড গেটওয়ে, রিমোট টার্মিনাল ইউনিট (আরটিইউ) এবং অটোমেশন ফ্রেমওয়ার্ক একত্রে কাজ করে রিয়েলটাইম মনিটরিং, রিমোট কন্ট্রোল এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
ইটনের ফিলিপাইন শাখার কান্ট্রি ম্যানেজার প্যাট্রিক জোসেফ উ মুনোজ বলেন, “বিদ্যুতের গুণমান শুধু নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা নয়, এটি খরচের ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। আমাদের প্রযুক্তি সমাধানগুলো বিদ্যুত বিল কমাবে, অপচয় হ্রাস করবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সংযোজনে সহায়তা করবে।”
ইভেন্টে ইটনের সিঙ্গাপুর, চীন এবং ফিলিপাইন অফিস থেকে আগত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই প্রযুক্তি নিয়ে তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ইটনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতে ডিজিটালাইজেশন ও টেকসই উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।