Wednesday, July 30, 2025

স্যামসাং বাংলাদেশের বাজারে এনেছে ভিশন এআই প্রযুক্তিনির্ভর ২০২৫ সিরিজের টেলিভিশন

  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ বাজারে এনেছে ২০২৫ সিরিজের ভিশন এআই প্রযুক্তিনির্ভর ছয়টি মডেলের টেলিভিশন। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে এই টেলিভিশনগুলো প্রদর্শনের পাশাপাশি বাজারে আনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্যামসাং বাংলাদেশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (রিটেইল ও স্ট্র্যাটেজি) রাজীব দাশ গুপ্ত বলেন, ‘এআই প্রযুক্তি টেলিভিশন দেখা এবং গেমিংয়ের অভিজ্ঞতায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রযুক্তি ও নকশাকে গুরুত্ব দেওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য আমরা ২০২৫ সিরিজের আওতায় বিভিন্ন নতুন মডেলের টেলিভিশন বাজারে এনেছি। এই টেলিভিশনগুলো দর্শকদের বিনোদনের অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।’

একই অনুষ্ঠানে স্যামসাং বাংলাদেশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাক্ট ও প্ল্যানিং) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিভিশন গ্রাহকদের হাতে তুলে দিয়ে আসছি। ২০২৫ সিরিজে এআই প্রযুক্তির পাশাপাশি বেশ কিছু উন্নত ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যা দর্শক ও গেমারদের অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে।’

২০২৫ সিরিজের আওতায় নিও কিউএলইডি ৮কে, ওএলইডি, কিউএলইডি, ক্রিস্টাল ইউএইচডি, এফএইচডি এবং এইচডি মডেলের টেলিভিশন বাজারে এসেছে। এই টেলিভিশনগুলোর পর্দার আকার মডেলভেদে ৩২ ইঞ্চি থেকে ৮৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। এতে রয়েছে এআই আপস্কেলিং প্রো, এআই পিকচার, ডলবি অ্যাটমসের এআই সাউন্ড প্রযুক্তি এবং অ্যাডাপ্টিভ সাউন্ড প্রো। এছাড়া, এআই এনার্জি মোডের কারণে এই টেলিভিশনগুলো সাধারণ টেলিভিশনের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে।

স্যামসাংয়ের তথ্য অনুযায়ী, নতুন মডেলের টেলিভিশনগুলোতে জেনারেটিভ ওয়ালপেপার, পেট অ্যান্ড ফ্যামিলি কেয়ার এবং ইউনিভার্সাল জেসচারের মতো উন্নত ফিচার রয়েছে। টাইজেন ইউআই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করায় এই টেলিভিশনগুলো সাত বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার হালনাগাদের সুবিধা দেবে। প্রতিটি টেলিভিশনের সঙ্গে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা রয়েছে।

এই টেলিভিশনগুলো ট্রান্সকম ডিজিটাল, র‍্যাংগস ইমার্ট এবং ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন শোরুমে পাওয়া যাবে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.