চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত হচ্ছে এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের বিকল্প, মাইক্রোসফটের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ
চ্যাটজিপিটিতে এখন স্প্রেডশিট এবং প্রেজেন্টেশন তৈরির সুবিধা যুক্ত হচ্ছে, যা এক্সেল বা পাওয়ার পয়েন্টের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে। প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন সুবিধা চালু হলে মাইক্রোসফট অফিসের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। তাঁরা বলছেন, এর ফলে চ্যাটজিপিটি আর শুধু প্রশ্নোত্তরের এআই সহকারী হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করবে।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম *দ্য ইনফরমেশন* এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওপেনএআই চ্যাটজিপিটিতে এমন সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, যার মাধ্যমে আলাদা কোনো সফটওয়্যার ছাড়াই স্প্রেডশিট ও স্লাইড তৈরি এবং সম্পাদনা করা যাবে। এই ফাইলগুলো ওপেন সোর্স ফরম্যাটে তৈরি হবে, যা মাইক্রোসফট অফিসেও ব্যবহারযোগ্য হবে। এই সুবিধা চালু হলে চ্যাটজিপিটির ইন্টারফেসে ব্যবহারকারীরা চ চার্ট, টেবিল বা স্লাইড তৈরির জন্য সহজ নির্দেশনা ও বাটন পাবেন। ধাপে ধাপে নির্দেশনা অনুসরণ করে পুরো কাজটি সম্পন্ন করা যাবে। ফলে মাইক্রোসফট ৩৬৫ বা গুগল ওয়ার্কস্পেসের মতো ব্যয়বহুল নিবন্ধন সেবার প্রয়োজন কমে যেতে পারে। সম্প্রতি ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা চললেও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান এই গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন। তবে মাইক্রোসফট অফিসের মতো পণ্যের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হলে দুই প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক নতুন করে জটিলতার মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওপেনএআই বর্তমানে চ্যাটজিপিটিতে বেশ কিছু উন্নত সুবিধা যুক্ত করার জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘এজেন্ট’ নামের একটি স্বয়ংক্রিয় এআই ব্যবস্থা, যা একাধিক ধাপে জটিল কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম। এই এজেন্টগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিবেদন তৈরি, বৈঠকের সময় নির্ধারণ এবং অনলাইনে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।