জুকারবার্গ চিঠিতে বলেন, “সুপারইন্টেলিজেন্স সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত, তবে এর সঙ্গে নতুন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি জড়িত। তাই কোন মডেল ওপেন সোর্স থাকবে আর কোনটি থাকবে না, তা সাবধানে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” এই বক্তব্য মেটার পূর্ববর্তী অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, কারণ এতদিন প্রতিষ্ঠানটি এলএএমএ (LLaMA) সিরিজের মতো এআই মডেলগুলোকে ওপেন সোর্স রাখার পক্ষে ছিল। তবে এবার জুকারবার্গের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আরও উন্নত ও ঝুঁকিপূর্ণ এআই মডেলগুলো ক্লোজড রাখার পক্ষে ঝুঁকছে মেটা।
চিঠিতে তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন মাসে মেটা কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) নিয়ে বড় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই লক্ষ্যে প্রায় ১৪.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ‘মেটা সুপারইন্টেলিজেন্স ল্যাবস’ নামে একটি নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এই ইউনিটের অধীনে উন্নত ক্লোজড এআই মডেল তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘বিহেমথ’ নামের একটি পরীক্ষামূলক মডেলের ওপেন টেস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জুকারবার্গ আরও বলেন, ভবিষ্যতের এআই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হবে। স্মার্ট গ্লাস, ভিআর হেডসেটের মতো ডিভাইসের মাধ্যমে এআই ব্যবহারকারীর সঙ্গে সারাক্ষণ থাকবে এবং তাদের চাহিদা ও কার্যক্রম বুঝে নিতে পারবে।
তবে, মেটার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি এখনো ওপেন সোর্স এআই নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, “আমরা শক্তিশালী ওপেন মডেল তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে একই সঙ্গে ক্লোজড মডেল নিয়েও কাজ চলবে।” এই দ্বৈত পন্থা মেটার ভবিষ্যৎ এআই কৌশলের নতুন দিক নির্দেশ করছে।