মাইক্রোসফটের এন্টারপ্রাইজ ও অপারেটিং সিস্টেম সুরক্ষা বিভাগের করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়েস্টন ভিডিওতে বলেন, “আজকের প্রজন্মের কাছে ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম যেমন অপরিচিত, তেমনি ভবিষ্যতে মাউস বা কি-বোর্ড ব্যবহারও ঠিক ততটাই অচেনা মনে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ কম্পিউটারের সঙ্গে চোখ দিয়ে কম এবং কথা বলে বেশি কাজ করবে।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতের উইন্ডোজ হবে বহুমাত্রিক, যেখানে ব্যবহারকারীরা কণ্ঠস্বর, হাতের ইশারা বা চোখের দৃষ্টির মাধ্যমে যন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই ধারণা এখন অনেকের কাছে কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হলেও, মাইক্রোসফটের প্রযুক্তি খাতে চলমান বিনিয়োগ এটিকে বাস্তবে রূপ দিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে মাইক্রোসফট তার বিভিন্ন পণ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক ফিচার ‘কোপাইলট’ যুক্ত করেছে। এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট উইন্ডোজ ও অফিস সফটওয়্যারে ব্যবহারকারীদের কাজকে আরও সহজ করে তুলছে। সম্প্রতি চালু হওয়া ‘হে কোপাইলট’ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কণ্ঠস্বরে নির্দেশ দিয়ে উইন্ডোজের বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন এবং ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
ডেভিড ওয়েস্টন আরও জানান, এআই প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কম্পিউটার ও ল্যাপটপের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এআই রুটিন কাজ, যেমন হিসেব তৈরি, ব্যয়ের রিপোর্ট বা স্প্রেডশিট তৈরির প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে। ফলে ব্যবহারকারীরা সময় বাঁচিয়ে সৃজনশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।
মাইক্রোসফটের এই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রযুক্তির জগতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। কণ্ঠস্বর ও ইশারাভিত্তিক এই ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের জন্য কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে আরও স্বাভাবিক এবং সহজ করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।