Thursday, August 7, 2025

সাইবার প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন: আপনার ফোনে স্পাই অ্যাপ লুকিয়ে থাকতে পারে!

ডিজিটাল যুগে সাইবার প্রতারণার ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ বারবার সতর্ক করে আসছে ম্যালওয়্যারের বিষয়ে। আপনার ফোনে কেউ গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে কিনা, তা আপনি হয়তো জানতেও পারছেন না। গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করা বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে কিছু অ্যাপ থাকতে পারে, যেগুলোতে প্রতারকরা ম্যালওয়্যার লুকিয়ে রাখে। এসব অ্যাপ আপনার অজান্তেই ফোনে ভুয়া সফটওয়্যার ইনস্টল করে। একবার এমনটা হলে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিমেষেই চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে।

অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা বা কিউআর কোড স্ক্যান করার সময়েও এ ধরনের স্পাই অ্যাপ ফোনে ঢুকে পড়তে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এসব অ্যাপ ফোনে থাকলে আপনার জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাহলে প্রশ্ন হলো, আপনার ফোনে এ ধরনের অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে কিনা, তা কীভাবে বুঝবেন? চলুন জেনে নিই কীভাবে স্পাই অ্যাপের উপস্থিতি শনাক্ত করবেন এবং সেগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।

স্পাই অ্যাপ শনাক্ত করার লক্ষণ

  1. ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়ে যাওয়া: যদি আপনার ফোনের ব্যাটারি অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তবে সতর্ক হোন। স্পাই অ্যাপ গোপনে ডেটা সংগ্রহ করলে এমনটা হতে পারে।

  2. ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া: ফোন ব্যবহার না করলেও যদি তা অতিরিক্ত গরম হয়, তবে বুঝতে হবে ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো অ্যাপ সক্রিয় রয়েছে।

  3. অপ্রত্যাশিত ডেটা ব্যবহার: ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার হঠাৎ বেড়ে গেলে স্পাই অ্যাপের সম্ভাবনা থাকতে পারে। এসব অ্যাপ আপনার তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাঠাতে ডেটা ব্যবহার করে।

  4. ফোনকলে অস্বাভাবিক শব্দ: কলের সময় ক্লিক শব্দ, প্রতিধ্বনি বা অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনলে সতর্ক হোন। এটি কল রেকর্ড বা ট্যাপ হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

  5. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বা বিজ্ঞাপন: আপনি ইনস্টল না করা কোনো অ্যাপ যদি ফোনে দেখা যায় বা ব্রাউজ করার সময় বারবার অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখায়, তবে বুঝতে হবে ক্ষতিকর সফটওয়্যার ফোনে প্রবেশ করেছে।

  6. ফোনের অস্বাভাবিক আচরণ: ফোন বারবার নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সিস্টেমের গতি কমে যাওয়াও স্পাই অ্যাপের লক্ষণ হতে পারে।

স্পাই অ্যাপ ধরার উপায়

  1. গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহার: গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে আপনার প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন এবং ‘প্লে প্রোটেক্ট’ অপশনে যান। এটি ফোনে কোনো স্পাই অ্যাপ আছে কিনা, তা শনাক্ত করবে।

  2. অ্যাপ তালিকা পরীক্ষা: ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘অ্যাপ’ বা ‘অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার’ অপশনে প্রবেশ করুন। অদ্ভুত বা অপরিচিত নামের কোনো অ্যাপ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ডিলিট করুন।

  3. প্রাইভেসি ম্যানেজমেন্ট: সেটিংসে ‘প্রাইভেসি’ অপশনে গিয়ে ‘প্রাইভেসি ম্যানেজার’ চেক করুন। দেখুন কোন অ্যাপ মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, লোকেশন বা অন্য ডেটা ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। সন্দেহজনক অ্যাপগুলো মুছে ফেলুন।

সতর্কতা অবলম্বন করুন

অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা বা কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় সতর্ক থাকুন। শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল করুন এবং নিয়মিত ফোনের সিকিউরিটি চেক করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সহজ পদক্ষেপগুলো মেনে চলুন। সাইবার প্রতারণার হাত থেকে নিরাপদ থাকতে এখনই সচেতন হোন!


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.