Tuesday, August 12, 2025

চ্যাটজিপিটির ভুল পরামর্শে হাসপাতালে নিউইয়র্কের এক বৃদ্ধ

 চ্যাটজিপিটির দেওয়া একটি ভুল ডায়েট পরামর্শের কারণে নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই ঘটনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর ভুল তথ্যের বিপদ সম্পর্কে গুরুতর সতর্কবার্তা দিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি তার কোনো মেডিক্যাল ইতিহাস উল্লেখ না করে চ্যাটজিপিটির কাছে ডায়েট প্ল্যান চেয়েছিলেন। লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইডের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে পড়াশোনা করে তিনি এটি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন। চ্যাটজিপিটি তাকে বিকল্প হিসেবে সোডিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সোডিয়াম ব্রোমাইড দেখতে লবণের মতো হলেও এটি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন যৌগ, যা মাঝে মাঝে ওষুধে ব্যবহৃত হলেও প্রধানত শিল্প ও পরিষ্কারক কাজে ব্যবহার হয়। অতিরিক্ত গ্রহণে এটি স্নায়বিক ও ত্বকের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

পুষ্টিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করা ওই ব্যক্তি অনলাইনে সোডিয়াম ব্রোমাইড কিনে তিন মাস ধরে লবণের পরিবর্তে এটি গ্রহণ করেন। তিনি নিজে পানি ফিল্টার করতেন এবং কঠোর খাদ্যসংযম মেনে চলতেন। ধীরে ধীরে তার মধ্যে তীব্র পিপাসা, শরীরের সমন্বয়হীনতা, সন্দেহপ্রবণতা, অদৃশ্য শব্দ শোনা ও দৃষ্টিভ্রমের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

হাসপাতালে ভর্তির প্রথম ২৪ ঘণ্টায় তার মানসিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা জানান, তার আগে কোনো মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না। তাকে তরল, ইলেকট্রোলাইট এবং অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে, হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টার কারণে তাকে মানসিক রোগীদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তিন সপ্তাহের চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনা চ্যাটজিপিটির মতো এআই সিস্টেমের ভুল তথ্য প্রদানের বিপজ্জনক দিক তুলে ধরেছে। ওপেনএআই তাদের শর্তাবলীতে উল্লেখ করেছে, চ্যাটজিপিটির আউটপুট সবসময় সঠিক নাও হতে পারে এবং এটিকে কখনোই পেশাদার পরামর্শের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ঘটনা এআই-এর উপর অন্ধভাবে নির্ভর করার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.