মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে এসেছে:
সহজ ও দ্রুত লেনদেন: ব্যাংকে না গিয়েই মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ সম্ভব।
২৪/৭ সেবা: যে কোনো সময়, যে কোনো স্থান থেকে সেবা গ্রহণের সুবিধা।
দৈনন্দিন বিল পরিশোধ: বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্কুল ফি ইত্যাদি বিল ঘরে বসেই পরিশোধ করা যায়।
নগদহীন লেনদেন: নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি কমে যায়।
প্রতারণার ঝুঁকি ও কৌশল
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও চক্র প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ কিছু প্রতারণার ধরন হলো:
ভুয়া ফোন কল বা মেসেজ: ‘আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে’ বা ‘লটারিতে ১ লাখ টাকা জিতেছেন’ বলে পিন, পাসওয়ার্ড বা OTP চাওয়া।
ফিশিং লিংক: এসএমএস বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠানো লিংকে ক্লিক করলে একাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি।
এজেন্টদের জালিয়াতি: ভুল ট্রান্সফার বা অতিরিক্ত চার্জ কেটে নেওয়া।
সিম সোয়াপ প্রতারণা: সিম ক্লোন করে একাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ।
নিরাপদ ব্যবহারের উপায়
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি:
গোপন তথ্য গোপন রাখুন: পিন, পাসওয়ার্ড বা OTP কাউকে প্রকাশ করবেন না, এমনকি কাস্টমার কেয়ার পরিচয় দিলেও।
অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার: শুধু নির্ভরযোগ্য অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
অজানা লিংক এড়িয়ে চলুন: সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করবেন না।
লেনদেনের রসিদ সংগ্রহ: টাকা পাঠানোর সময় রসিদ বা এসএমএস নিশ্চিত করুন।
কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ: প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন।
নিয়মিত পিন পরিবর্তন: একাউন্টের তথ্য ঝুঁকিতে থাকলে পিন পরিবর্তন করুন।
মোবাইল ব্যাংকিং আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু এর সঙ্গে ঝুঁকিও এসেছে। সচেতনতার মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব। সকলে মিলে সচেতন হই এবং অন্যদেরও সচেতন করি—মোবাইল ব্যাংকিং হোক নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য।