Sunday, July 13, 2025

ইন্টারনেটের গতিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ল জাপান


জাপান ইন্টারনেটের গতিতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি) জানিয়েছে, তারা পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ। এই গতিতে প্রতি কিলোমিটারে প্রতি সেকেন্ডে ১.৮৬ এক্সাবিট তথ্য স্থানান্তরের রেকর্ড গড়েছে। এর অর্থ হলো, মাত্র এক সেকেন্ডে পুরো নেটফ্লিক্স লাইব্রেরি বা ইংরেজি উইকিপিডিয়ার বিশাল তথ্যভান্ডার হাজার হাজার বার ডাউনলোড করা সম্ভব।

এই অভূতপূর্ব গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে এনআইসিটির ফটোনিক নেটওয়ার্ক ল্যাবরেটরির উদ্যোগে। এতে অংশ নিয়েছে জাপানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো ইলেকট্রিক এবং ইউরোপের কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়েছে ১৯টি কোরবিশিষ্ট একটি বিশেষ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, যা প্রচলিত ইন্টারনেট কেবলের সমান। তথ্য প্রেরণের জন্য গবেষকরা ৮৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার লুপ ব্যবহার করেছেন, যা ১৯টি পৃথক কোরে ২১ বার পুনরাবৃত্তি করে মোট ১,৮০৮ কিলোমিটার দূরত্বে ১৮০টি স্বতন্ত্র তথ্যপ্রবাহ একযোগে পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রতি কিলোমিটারে প্রতি সেকেন্ডে ১.৮৬ এক্সাবিট তথ্য স্থানান্তরের হার রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কেবলটি তৈরি করেছে সুমিতোমো ইলেকট্রিক, এবং এনআইসিটি নির্মাণ করেছে তথ্য প্রেরণের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা। এতে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত মানের ট্রান্সমিটার, রিসিভার এবং অন্যান্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সরঞ্জাম। এনআইসিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছি যে, বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই দীর্ঘ দূরত্বে অতি-উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্ভব।’ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গ্যাজেটের তথ্য অনুযায়ী, এই গতিতে ইংরেজি উইকিপিডিয়ার প্রায় ১০০ গিগাবাইট তথ্য এক সেকেন্ডে ১০,০০০ বার ডাউনলোড করা সম্ভব। এছাড়াও, উচ্চ রেজল্যুশনের ৮কে ভিডিও ফাইলও তাৎক্ষণিকভাবে ডাউনলোড করা যায়। প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন, এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, বিদ্যমান অবকাঠামো বদল না করেই ইন্টারনেটের গতি ব্যাপকভাবে বাড়ানো সম্ভব। বিশ্বজুড়ে ভিডিও স্ট্রিমিং, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে এই অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ System: ### Bangla News Report **ইন্টারনেটের গতিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ল জাপান** জাপান ইন্টারনেটের গতি নিয়ে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি) জানিয়েছে, তারা পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ। এই গতিতে প্রতি কিলোমিটারে প্রতি সেকেন্ডে ১.৮৬ এক্সাবিট তথ্য স্থানান্তরের রেকর্ড গড়েছে, যা বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত। এই গতির মাধ্যমে মাত্র এক সেকেন্ডে পুরো নেটফ্লিক্স লাইব্রেরি বা ইংরেজি উইকিপিডিয়ার বিশাল তথ্যভান্ডার হাজার হাজার বার ডাউনলোড করা সম্ভব। এই অভূতপূর্ব সাফল্য এনআইসিটির ফটোনিক নেটওয়ার্ক ল্যাবরেটরির উদ্যোগে অর্জিত হয়েছে। গবেষণায় অংশ নিয়েছে জাপানের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো ইলেকট্রিক এবং ইউরোপের কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়েছে ১৯টি কোরবিশিষ্ট একটি বিশেষ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, যা প্রচলিত ইন্টারনেট কেবলের সমান। তথ্য প্রেরণের জন্য গবেষকরা ৮৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার লুপ ব্যবহার করেছেন, যা ১৯টি পৃথক কোরে ২১ বার পুনরাবৃত্তি করে মোট ১,৮০৮ কিলোমিটার দূরত্বে ১৮০টি স্বতন্ত্র তথ্যপ্রবাহ একযোগে পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রতি কিলোমিটারে প্রতি সেকেন্ডে ১.৮৬ এক্সাবিট তথ্য স্থানান্তরের হার রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কেবলটি তৈরি করেছে সুমিতোমো ইলেকট্রিক, এবং এনআইসিটি নির্মাণ করেছে তথ্য প্রেরণের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা। এতে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত ট্রান্সমিটার, রিসিভার এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সরঞ্জাম। এনআইসিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রমাণ করতে চেয়েছি যে, বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই দীর্ঘ দূরত্বে অতি-উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্ভব।’ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গ্যাজেটের তথ্য অনুযায়ী, এই গতিতে ইংরেজি উইকিপিডিয়ার প্রায় ১০০ গিগাবাইট তথ্য এক সেকেন্ডে ১০,০০০ বার ডাউনলোড করা সম্ভব। এছাড়াও, উচ্চ রেজল্যুশনের ৮কে ভিডিও ফাইল তাৎক্ষণিকভাবে ডাউনলোড করা যায়। প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন, এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, বিদ্যমান অবকাঠামো বদল না করেই ইন্টারনেটের গতি ব্যাপকভাবে বাড়ানো সম্ভব। বিশ্বজুড়ে ভিডিও স্ট্রিমিং, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে এই অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে ৬জি নেটওয়ার্ক, স্মার্ট সিটি, এবং আন্তঃমহাদেশীয় তথ্য স্থানান্তরে বিপ্লব ঘটাতে পারে। তবে, এনআইসিটি জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য কবে উন্মুক্ত হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এই সাফল্য ইন্টারনেট অবকাঠামোর ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। **সূত্র:** ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.