ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে রকেট প্রকল্প স্থগিত করল মার্কিন বিমানবাহিনী
ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রস্তাবিত হাইপারসনিক রকেট কার্গো ডেলিভারি প্রকল্প স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন বিমানবাহিনী। পরিবেশগত উদ্বেগের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার পেছনে ইলন মাস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনও একটি ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।মার্কিন বিমানবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের আওতায় প্রশান্ত মহাসাগরের দূরবর্তী দ্বীপ অ্যাটলে বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশকারী রকেট ও যানবাহনের কার্যকারিতা পরীক্ষার পরিকল্পনা ছিল। তবে এই দ্বীপটি ১৪ প্রজাতির গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল এবং ফ্রিগেটবার্ড ও বুবি পাখিদের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। জীববিজ্ঞানী ও সংরক্ষণবাদীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই পাখিদের জনসংখ্যা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল ৯০ মিনিটের মধ্যে ১০০ টন পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম উচ্চ গতির পুনঃপ্রবেশকারী রকেট ও যানবাহন পরীক্ষা করা। পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট নির্মাণে স্পেসএক্সের অভিজ্ঞতার কারণে এই প্রকল্পে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশীদার হিসেবে যুক্ত ছিল। তবে পরিবেশগত সংঘাত এড়াতে মার্কিন বিমানবাহিনী এখন বিকল্প পরীক্ষাস্থল খুঁজছে। এর আগেও পরিবেশগত ইস্যুতে স্পেসএক্স সমালোচনার মুখে পড়েছে। ২০২৩ সালে টেক্সাসের বোকা চিকাতে স্টারশিপ উৎক্ষেপণের সময় পাখির বাসা ধ্বংস হওয়ায় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় প্রতিষ্ঠানটি। ইলন মাস্ক সে সময় সমালোচনার জবাব দিলেও ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করেননি। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিল নিয়ে মাস্কের সমালোচনার পর থেকে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। গত জুনে ট্রাম্প মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছিলেন, যা এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।