জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব সব বয়সী মানুষের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। শিশুদের জন্য রয়েছে ইউটিউব কিডস, আর বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও উপভোগের জন্য রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনের সুবিধা। তবে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার জন্য ইউটিউব সবসময় সতর্ক। এবার লাইভ স্ট্রিমিং নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্ল্যাটফর্মটি।
নতুন নিয়ম অনুসারে, ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো ক্রিয়েটর একা লাইভ স্ট্রিম করতে পারবেন না। এর আগে এই বয়সসীমা ছিল ১৩ বছর। নতুন বিধি অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ক্রিয়েটরদের লাইভ স্ট্রিম করতে হলে অভিভাবক বা প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি লাইভ স্ট্রিম শুরু করতে, কনটেন্ট পরিচালনা করতে এবং দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবেন। ফলে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রিয়েটররা এডিটর হিসেবে কাজ করতে বা নিজস্ব চ্যানেল পরিচালনা করতে পারবেন।
এই পরিবর্তনের ফলে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে লাইভ স্ট্রিম করার প্রবণতা বাড়তে পারে। এটি শুধু শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, বরং পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে সময় কাটানোর একটি নতুন ডিজিটাল উপায় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এছাড়া, শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে একটি নতুন ধরনের ডিজিটাল সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।