Saturday, July 5, 2025

ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে নতুন নিয়ম: অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অভিভাবকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক

 

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব সব বয়সী মানুষের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। শিশুদের জন্য রয়েছে ইউটিউব কিডস, আর বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও উপভোগের জন্য রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনের সুবিধা। তবে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার জন্য ইউটিউব সবসময় সতর্ক। এবার লাইভ স্ট্রিমিং নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্ল্যাটফর্মটি।

নতুন নিয়ম অনুসারে, ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো ক্রিয়েটর একা লাইভ স্ট্রিম করতে পারবেন না। এর আগে এই বয়সসীমা ছিল ১৩ বছর। নতুন বিধি অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ক্রিয়েটরদের লাইভ স্ট্রিম করতে হলে অভিভাবক বা প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি লাইভ স্ট্রিম শুরু করতে, কনটেন্ট পরিচালনা করতে এবং দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবেন। ফলে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রিয়েটররা এডিটর হিসেবে কাজ করতে বা নিজস্ব চ্যানেল পরিচালনা করতে পারবেন।

এই পরিবর্তনের ফলে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে লাইভ স্ট্রিম করার প্রবণতা বাড়তে পারে। এটি শুধু শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, বরং পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে সময় কাটানোর একটি নতুন ডিজিটাল উপায় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এছাড়া, শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে একটি নতুন ধরনের ডিজিটাল সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

তবে, পারিবারিক লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবে দর্শকদের সামনে চলে আসে, যা গোপনীয়তার প্রশ্ন তুলতে পারে। তাই কোন বিষয় প্রকাশ করা যাবে এবং কোনটি গোপন রাখা উচিত, সে বিষয়ে অভিভাবক ও শিশুদের স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। এছাড়া, লাইভ স্ট্রিম আকর্ষণীয় রাখার পাশাপাশি ইউটিউবের নিয়ম-নীতি যাতে কোনোভাবে লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে। ইউটিউবের এই নতুন নীতি শিশুদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউটিউবের ব্যবহারকে আরও নিরাপদ ও পারিবারিক করে তুলতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.