সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ছে দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারণে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকারদের কৌশলও হয়েছে আরও উন্নত, ফলে সাধারণ বা সহজে অনুমেয় পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীরা পড়ছেন বড় ধরনের সাইবার ঝুঁকিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-মেইল কিংবা স্মার্টফোন—সবক্ষেত্রেই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার অপরিহার্য। অনলাইনে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো—
১. জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার: বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন মিলিয়ে দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করা নিরাপদ। সবচেয়ে ভালো হয় এলোমেলোভাবে জেনারেট করা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে। এগুলো মনে রাখা কঠিন হওয়ায় নিরাপদভাবে লিখে রাখা বা সংরক্ষণ জরুরি।
২. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করা: সংবেদনশীল অ্যাকাউন্টে (যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট) দুই ধাপের যাচাই পদ্ধতি ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড ফাঁস হলেও হ্যাকারদের পক্ষে প্রবেশ করা কঠিন হয়।
৩. একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করা: একাধিক প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে ‘ক্রিডেনশিয়াল স্টাফিং’ আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিটি অ্যাকাউন্টে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়ায়।
৪. পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার: জটিল ও আলাদা পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সাহায্য করে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, এমন ম্যানেজার ব্যবহার করা ভালো যা পাসওয়ার্ড অনলাইনে না রেখে কেবল স্থানীয় ডিভাইসে সংরক্ষণ করে। অফলাইন ডিভাইস-ভিত্তিক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সবচেয়ে নিরাপদ।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চারটি অভ্যাস মেনে চললে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বহুলাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব এবং অনলাইন হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।