টিকটক এর আগে ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ নামে একটি ফিচার চালু করেছিল, যার মাধ্যমে মা-বাবা তাদের সন্তানদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিজেদের অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সেটিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এখন এই ফিচারের পরিধি আরও বাড়িয়ে টিকটক মা-বাবাকে সন্তানদের অ্যাকাউন্টের কার্যক্রম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ দিচ্ছে।
নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে:
টিনএজাররা যখন টিকটকে নতুন ভিডিও, স্টোরি বা ছবি আপলোড করবে, তখন মা-বাবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিফিকেশন পাবেন।
মা-বাবা দেখতে পারবেন সন্তানরা তাদের ফিডে কোন বিষয় বেছে নিয়েছে।
১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী টিনএজারদের অ্যাকাউন্টে কী ধরনের গোপনীয়তা সেটিং রয়েছে, যেমন তাদের কনটেন্ট ডাউনলোডের অনুমতি বা ডুয়েট ও স্টিচের অনুমতি আছে কিনা, তা মা-বাবা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
এছাড়াও, টিকটক কনটেন্ট নির্মাতাদের মানসিক সুস্থতা রক্ষার জন্য কিছু নতুন ফিচার চালু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে উন্নতমানের কমেন্ট ফিল্টার, নির্দিষ্ট শব্দ বা ইমোজি মিউট করার সুবিধা এবং টিকটক লাইভের সময় কমেন্ট নিয়ন্ত্রণের ফিচার।
টিকটকের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি প্রধান অ্যাডাম প্রেসার বলেন, “কিশোররা চায় তাদের অভিভাবকরা তাদের ডিজিটাল জীবনে আগ্রহী হোক এবং এর গুরুত্ব বুঝুক। এই নতুন ফিচারগুলো পরিবারকে টিকটকে তাদের পছন্দের বিষয় ও কনটেন্ট নির্মাতাদের নিয়ে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ দেবে।”
এই ফিচারগুলো ইউরোপে প্রাথমিকভাবে চালু হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী কিশোরদের অ্যাকাউন্টে ৫০টিরও বেশি নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সেটিং রয়েছে। এছাড়া, টিকটকের একটি ফিচার এখন বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ, যার মাধ্যমে কিশোররা কোনো ভিডিও রিপোর্ট করলে তাদের অভিভাবকদের জানানো যাবে, যা অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করবে।
টিকটকের এই উদ্যোগ অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের অনলাইন সেফটি অ্যাক্টের আওতায় সম্প্রতি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর কনটেন্ট ফিল্টার করার জন্য কঠোর নিয়ম চালু হয়েছে, এবং টিকটকের এই ফিচারগুলো সেই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।