Thursday, July 31, 2025

রাতভর ফোন চার্জে রাখছেন? ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে!

স্মার্টফোন ছাড়া আজকের দিনে জীবন অচল। সকালে ঘুম ভাঙা থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাজে আমরা এই ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই অপরিহার্য ডিভাইসের ব্যাটারির যত্ন নিচ্ছি কি সঠিকভাবে? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সারা রাত ফোন চার্জে রাখার অভ্যাস ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

‘প্রযুক্তি’ নামক একটি পেজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধুনিক স্মার্টফোনে ব্যবহৃত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উন্নত প্রযুক্তির হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফোন ১০০% চার্জ হয়ে গেলেও চার্জারে যুক্ত থাকলে ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা ‘ওভারচার্জিং’ নামে পরিচিত। এটি ধীরে ধীরে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ও আয়ু কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, বারবার পূর্ণ চার্জ এবং দীর্ঘ সময় চার্জে থাকলে ব্যাটারি গরম হয়ে ওভারহিটিং সমস্যা তৈরি হতে পারে। চরম ক্ষেত্রে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঝুঁকিও থাকে।

ব্যাটারির যত্নে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন:

  • ফোনের চার্জ ৮০% হলে চার্জার খুলে ফেলুন।

  • ব্যাটারি ২০% এর নিচে নামার আগেই চার্জে দিন।

  • ফোনের নিজস্ব বা কোম্পানি অনুমোদিত চার্জার ব্যবহার করুন।

  • ১০০% চার্জ হলে নিজে থেকে ফোন আনপ্লাগ করুন, অটো চার্জিং ফিচারের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করবেন না।

‘স্মার্ট’ ফিচারের ওপর ভরসা কতটা?

অনেক স্মার্টফোনে ‘অটোমেটিক চার্জ স্টপ’ বা ‘অপ্টিমাইজড ব্যাটারি চার্জিং’ ফিচার থাকলেও এগুলো সবসময় নির্ভরযোগ্য নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাটারির নিরাপত্তার জন্য ব্যবহারকারীর সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অযত্নে ক্ষতি হতে পারে ডিভাইসের

স্মার্টফোন যতই উন্নত হোক, এর ব্যাটারি এখনো সীমিত প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। অসচেতন ব্যবহারে শুধু ব্যাটারি নয়, পুরো ডিভাইসের জীবনকালও কমে যেতে পারে। তাই ফোন চার্জিং থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন ও জ্ঞানের প্রয়োগ অপরিহার্য। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সামান্য সচেতনতাই আপনার প্রিয় স্মার্টফোনকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে পারে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.