ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫: স্মার্টফোন আজ শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তির কারণে ছবি তোলার ক্ষেত্রেও এটি এখন ডিএসএলআর ক্যামেরার বিকল্প। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), উন্নত সেন্সর ও ম্যানুয়াল নিয়ন্ত্রণ সুবিধার সমন্বয়ে স্মার্টফোনে উচ্চমানের ছবি তোলা সম্ভব। তবে ভালো ছবি তুলতে কিছু কৌশল ও সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
প্রো মোডের সদ্ব্যবহার
স্মার্টফোনের ‘প্রো’ বা ‘ম্যানুয়াল’ মোড ব্যবহার করে আলো, শাটার স্পিড, আইএসও, হোয়াইট ব্যালান্স ও ফোকাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ছবি তোলার আগে এই সেটিংস সামঞ্জস্য করে কাঙ্ক্ষিত আবহ তৈরি করলে পেশাদার মানের ছবি পাওয়া সম্ভব।
পোর্ট্রেট মোডে বোকেহ ইফেক্ট
পোর্ট্রেট মোড ব্যবহার করে ডিএসএলআর-এর মতো বোকেহ ইফেক্ট তৈরি করা যায়, যেখানে বিষয়বস্তু স্পষ্ট থাকে এবং পটভূমি ঝাপসা হয়। এআই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয় ও পটভূমি শনাক্ত করে গভীরতা তৈরি করে, যা ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করে।
সিন ডিটেকশন প্রযুক্তির ব্যবহার
আধুনিক স্মার্টফোনের ‘সিন ডিটেকশন’ ফিচার খাবার, প্রকৃতি, সূর্যাস্ত বা রাতের দৃশ্য শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রং, উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট সামঞ্জস্য করে। এই ফিচার ব্যবহার করলে আলাদা সেটিংস নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন পড়ে না, এবং ছবির গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
সঠিক আলোর ব্যবহার
আলো ছবির গুণমানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নরম আলো বা সূর্যাস্তের উষ্ণ আলোতে ছবি তুললে স্বাভাবিক ও উন্নতমানের ছবি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ফ্ল্যাশ ব্যবহার এড়াতে হবে, কারণ এটি ছবির রং ও ত্বকের টোন বিকৃত করতে পারে।
ফোকাস ও পরিষ্কার লেন্স
ছবির গুণমান ফোকাসের ওপর নির্ভর করে। স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ট্যাপ করে সঠিক জায়গায় ফোকাস করা যায়। এ ছাড়া, লেন্সে ধুলো, আঙুলের ছাপ বা তেলতেলে আবরণ থাকলে ছবি ঝাপসা হতে পারে। তাই ছবি তোলার আগে মসৃণ কাপড় দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করে নিতে হবে।
স্মার্টফোনের এই সুবিধাগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সাধারণ মানুষও পেশাদার ফটোগ্রাফারের মতো ছবি তুলতে পারেন।