Monday, July 7, 2025

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে ছোটদের সতর্ক করার উপায়


ডিজিটাল যুগে শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এর সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে নানা ঝুঁকি। অল্প বয়সে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি, সাইবার বুলিং, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের মতো সমস্যা এড়াতে অভিভাবকদের সন্তানদের সতর্ক করা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো।

১. ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণে সতর্কতা

শিশুরা সহজেই অনলাইনে মানুষের কথা বিশ্বাস করে ফেলে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরিচিত ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণের আগে সতর্ক থাকতে হবে। অভিভাবকদের সন্তানদের বোঝাতে হবে যে, সুন্দর আচরণের আড়ালে খারাপ উদ্দেশ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় সতর্কতা অবলম্বন এবং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণের আগে ভালোভাবে যাচাই করা প্রয়োজন।

২. ছবি পোস্টে সচেতনতা

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করা এখন সাধারণ বিষয়। তবে শিশুদের বোঝাতে হবে যে, একবার পোস্ট করা ছবি বা কমেন্ট চিরকালের জন্য ইন্টারনেটে থেকে যায়। আজ যা ঠিক মনে হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে অনুশোচনার কারণ হতে পারে। তাই ছবি বা কনটেন্ট শেয়ারের আগে সতর্কভাবে চিন্তা করা জরুরি।

৩. সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষা

সাইবার বুলিং হলো ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে কাউকে হয়রানি বা উত্ত্যক্ত করা। এটি সোশ্যাল মিডিয়া, টেক্সট মেসেজ বা ইমেলের মাধ্যমে ঘটতে পারে। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে শিশুরা মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের এ বিষয়ে সচেতন করা এবং এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা শেখানো।

৪. নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা

অভিভাবকদের সন্তানদের বন্ধুর মতো আচরণ করে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা উচিত। শিশুদের বোঝাতে হবে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো সমস্যা বা নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হলে অভিভাবকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা করা জরুরি। সমস্যা গোপন না করে খোলাখুলি বলতে উৎসাহিত করতে হবে।

৫. ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা

শিশুদের শেখাতে হবে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, স্কুলের তথ্য বা অভিভাবকদের তথ্য শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ। এতে নিজের বা পরিবারের ক্ষতি হতে পারে। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের এ বিষয়ে সচেতন করা এবং তথ্য শেয়ারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া।

অভিভাবকদের করণীয়

অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সঙ্গে নিয়মিত খোলামেলা আলোচনা করা এবং তাদের অনলাইন কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে থাকা। শিশুদের বয়স ও পরিপক্কতার ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নিয়ম তৈরি করা প্রয়োজন। সাইবার বুলিং, অনুপযুক্ত কনটেন্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া, শিশুদের অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে অভিভাবকদের সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণই পারে তাদের জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করতে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.