গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের অফিস বন্ধ হয়ে গেলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সংস্থাটি তাদের কার্যক্রমকে বিশ্বব্যাপী ক্লাউড-ভিত্তিক এবং অংশীদার-নেতৃত্বাধীন মডেলে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে।
২০২৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯,১০০ কর্মী (মোট কর্মীবাহিনীর প্রায় ৪ শতাংশ) ছাঁটাইয়ের পর এবার পাকিস্তানে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এটি সংস্থাটির সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের অংশ।
পাকিস্তানে মাইক্রোসফটের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রেহমান সরকার এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীকে একটি কেপিআই (কী পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) ভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রযুক্তি জায়ান্টদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিঙ্কডইনে এক পোস্টে বলেছেন, “মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বব্যাপী টেক জায়ান্টরাও পাকিস্তানের ব্যবসায়িক পরিবেশকে অস্থিতিশীল বলে মনে করছে।”
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এক্সে একটি পোস্টে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “এটি আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ।” তিনি জানান, মাইক্রোসফট একসময় পাকিস্তানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করলেও দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের শেষ দিকে তারা ভিয়েতনামে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই ঘটনা পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এবং অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে আরও বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো পাকিস্তান থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে পারে।