মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআই অ্যাপলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের র্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় একচেটিয়া ব্যবসাবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন মাস্ক।
এক্সে এক পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, “অ্যাপল এমনভাবে আচরণ করছে যে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো এআই কম্পানির পক্ষে অ্যাপ স্টোরে এক নম্বরে ওঠা অসম্ভব। এটি স্পষ্টভাবে একচেটিয়া ব্যবসাবিরোধী আইনের লঙ্ঘন। এক্সএআই অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ নেবে।” তবে এই অভিযোগের পক্ষে মাস্ক কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। অ্যাপল, ওপেনএআই এবং এক্সএআই এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরের ‘টপ ফ্রি অ্যাপস’ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি। এক্সএআই-এর গ্রোক অ্যাপ পঞ্চম স্থানে এবং গুগলের জেমিনাই ৫৭তম স্থানে রয়েছে। সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গুগল প্লে স্টোরেও চ্যাটজিপিটি শীর্ষে অবস্থান করছে। অ্যাপল ওপেনএআই-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আইফোন, আইপ্যাড এবং ম্যাক ডিভাইসে চ্যাটজিপিটি সংযুক্ত করেছে।
এর আগে এক্সে আরেক পোস্টে মাস্ক অ্যাপল অ্যাপ স্টোরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এক্স বিশ্বের এক নম্বর সংবাদ অ্যাপ এবং গ্রোক সব অ্যাপের মধ্যে পঞ্চম স্থানে থাকা সত্ত্বেও কেন আপনারা এদের ‘মাস্ট হ্যাভ’ বিভাগে রাখছেন না? রাজনীতি খেলছেন নাকি?”
অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এর আগেও সমালোচনা হয়েছে। ‘ফোর্টনাইট’ গেমের নির্মাতা এপিক গেমস এ ধরনের অভিযোগে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে এক মার্কিন বিচারক রায় দেন, অ্যাপল প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। বিষয়টি ফৌজদারি অবমাননা তদন্তের জন্য ফেডারেল প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া, ডেভেলপারদের অ্যাপ স্টোরের বাইরে সস্তা বিকল্প ব্যবস্থা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাপলকে ৫০ কোটি ইউরো জরিমানা করে, যা ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।